বেশীরভাগ ভাইয়া এবং আপুরাই আম্মাদের সিস্টেমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক কনফিউশন এ থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হলো RTO.
সুতরাং, চলুন প্রথমেই জেনে নেই RTO এবং RTO চার্জ কি?
👉🏻RTO এই কথাটির অর্থ হলো রিটার্ন টু অরিজিন। আপনার কোন প্রোডাক্ট যে কোন কারণে যখন কাস্টমার রিসিভ করে না তখন পার্সেলটি রিটার্ন করা হয়। সেই রিটার্নড পার্সেল এর জন্য যে ফি নির্ধারিত হয় তাকে বলা হয় RTO চার্জ ।
RTO চার্জ এর এমাউন্ট কত?
👉🏻ঢাকার ভিতরে RTO চার্জ =৪৯ টাকা
👉🏻ঢাকার নিকটবর্তী এবং ঢাকার বাইরে = ১৬৮.৯৫ টাকা
RTO চার্জ কেন কাটা হয়?
👉🏻যখন কোনো প্রোডাক্ট রিটার্ন পাঠানো হয় ডেলিভারির সম্পূর্ণ অপারেশন প্রসেসটিই রিপিট হয়। যেমন কাস্টমারের কাছ থেকে নিয়ে অর্ডারটি প্রথমে হাব-এ দেওয়া হয়। অতঃপর কোয়ালিটি চেক এর জন্য আমাদের ওয়্যার হাউসে নেয়া হয়। এরপর সেটি হোলসেলারের কাছে আবারো পৌঁছায় দেওয়া হয়। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন যেকোনো রিটার্নের জন্য আমাদের খরচটি দ্বিগুন হয়ে যাই। তবুও আমরা আপনাদের যেন বেশি ক্ষতি না হয়ে থাকে এই দিকে খেয়াল রেখে ঢাকার ভিতরে আমরা ডেলিভারি চার্জ এর সমানই RTO চার্জ রেখেছি। কিন্তু ঢাকার বাইরে সম্পূর্ণ প্রসেসটি আমাদের জন্য আরো জটিল হয়ে দাঁড়ায় বিধায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পর ১৬৯.৯৫ টাকা রাখা হয়।
যে কোন কাস্টমার রিটার্ন এর জন্যই আপনাকে RTO চার্জ করা হবে। কিন্তু যদি প্রোডাক্টে কোন সমস্যার কারণে কাস্টমার রিটার্ন করে তাহলে সেই RTO চার্জ আপনাকে রিফান্ড করা হবে ।
এবং কিভাবে RTO রিফান্ড পেতে পারেন?
👉🏻যদি কোন প্রোডাক্ট এর ত্রুটি থাকে যেমনঃ ফল্টি প্রোডাক্ট, ছেঁড়া/দাগ/ভাঙ্গা /নষ্ট/ প্রোডাক্ট, ভুল প্রোডাক্ট ইত্যাদি কারণে যদি কাস্টমার প্রোডাক্ট রিটার্ন করে দেয় তাহলে আপনি সেই অর্ডার এর জন্য RTO চার্জ রিফান্ড করা হবে । এক্ষেত্রে অর্ডার আইডি এবং উপযুক্ত প্রমান (যেমন : ছবি, স্ক্রিন শট, ভিডিও ইত্যাদি) সহ শপআপ -এর কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে। RTO ক্লেইম করার ৫-১০ দিন এর মধ্যে আপানার RTO চার্জ এডজাস্ট হয়ে যাবে।